Saturday, May 12, 2012

বন্ধন

বন্ধন

অনেক বছর পেরিয়ে এসে অনেক মনের সাথে মিশে
আমরা এখন মাঝ দিঘীতে মিশেই ভেসে রই
রয়েছি তবু একলা ব’সে মুখ শুকিয়ে এই বয়সে
তাই ত ভাবি এবার যদি বেড়া ভেঙে আমরা সবাই
মিলে মিশে একসাথে সব যোশেই বুড়ো হই ।

একমাসেরো বড় হলে দাদা দিদি হ’ত যারা
এখন দেখি দশবছরের বড় হলেও বন্ধু তারা
কোথায় গেছে ছোট বেলার ছোটখাট ফারাক যত
গুলি, পিট্টু, বোম্বাট সব মাঠেই আছে মনের মত
কতরকম বাঁদরামি সব করতাম আজ মনে পড়ে
দেখতে যেতাম ফুটবল ম্যাচ বাসে ঝুলে রৌদ্রে ঝড়ে
পকেট তখন গড়ের মাঠ, তাও খেলার টানেই ইডেন যাওয়া
এখন টানে বয়সের সব অসুখ অনেক মূল্যে পাওয়া
দোলের সময় রঙ ভরা সব বেলুনগুলোর ঘোরাফেরা
ঈদ বিজয়ার মিষ্টি কোলাকুলির পরেই ঘরে ফেরা

পাড়ার মোড়ে রবিদাদের আলুর চপ আর লেবু চা
রবিবারের আড্ডাগুলো মনে করেই শান্তি পা

আছিস কোথায় বন্ধুরা সব হলিই না হয় বুড়ো ছেলে
কী আসে যায় বয়স না হয় গেছে কোথায় দূরে ফেলে
এখন যদি মিলত সবাই আবার নতুন জোরে
একিই খেলা খেলতাম কি অন্যরকম ক’রে?
সবাই যদি আবার এসে আগের মতন মিলতো এসে হাঁসিখুশীর ধারে
একসাথে সব বুড়ো হবার মজা হত খেলার মত
বুক বাজিয়ে বুড়ো হতাম একসাথেতে হ’লে

জানি এমন হবার ত নয় দেওয়াল এখন বিশাল বেজায়
মনের কথা মনের কাছে লিখেই হেঁসে খেলে বেড়ায়...